পানি কমলেও সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি। প্রত্যন্ত এলাকার বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক এখনো বন্ধ। বিদ্যুৎ ছাড়াই সীমিত পরিসরে চলছে থানা সদরের কিছু হাসপাতাল। করোনার টিকা ছাড়াও শিশু ও মায়েদের নিয়মিত টিকা কার্যক্রমও বন্ধ আছে।
এই পরিস্থিতিতে বানভাসি অঞ্চলে ছড়াচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ। রোগী দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।বন্যা দুর্গত মানুষগুলোকে শুধু সহায়-সম্বলই হারায়নি। চলার মতো জীবনী শক্তিটুকুও যেনো কেড়ে নিয়েছে। অথৈ জলে ভাসা জীবন। দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে।
কিন্তু এভাবে একটানা আর কতদিন। পানির সাথে লড়াই করতে করতে শরীরে দানা বাধছে রোগ বালাই। আর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে নিঃস্ব মানুষের দীর্ঘশ্বাস। বন্যা দূর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পে শনিবার গিয়ে দেখা গেলো ডাক্তার দেখানোর অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষ।
বেশিরভাগই ভুগছে ডায়রিয়া, পেটের ব্যাথা, জ্বর কিংবা চর্মরোগে। ডাক্তার দেখার পর এসব ক্যাম্পে বিনামূল্যে ওষুধ মিলছে। মিলছে ব্যবস্থাপত্রও।
এছাড়া, হাসপাতাল এবং বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের ভিড় লেগেছে। চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পই এখন ভরসা বানভাসীদের। কারণ বন্যার পানি কমলেও দূর্গত এলাকার স্বাস্থ্যসেবা এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি।
কিন্তু, বিদ্যুত না থাকায় ব্যহত হচ্ছে চিকিতসা। বিদ্যুত না থাকায় শিশু ও নারীদের নিয়মিত টিকার পাশাপাশি করোনা টিকা দেয়াও বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে করোনার পিসিআর টেস্টেও। পানি কমলেও বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিকে এখনো চিকিৎসা দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাও এখন জরুরি।