প্রতিকেজি চিনির দাম ১০০ টাকা নয়, ৭০ টাকা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা (টিসিবি)। গতকাল বুধবার ভর্তুকি মূল্যে চিনির দাম এক লাফে কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানোর পর সমালোচনার মুখে পড়ে টিসিবি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং আগের দামেই চিনি বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালেই চিনি আগের দামে বিক্রি হবে বলে ঘোষণা দেয় টিসিবি।
এর আগে গতকাল টিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দর বাড়ানোর বিষয়ে বলা হয়েছিল, বাজারে চিনির কেজি ১৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। টিসিবি এবার ভর্তুকি মূল্যে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সাথে সমন্বয় করে টিসিবি দাম বাড়ালেও সরকার নির্ধারিত বাজারদরের চেয়ে কেজিতে ৪০-৬০ টাকা কমে চিনি পাবেন উপকারভোগীরা।
এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন সাধারণ মানুষ। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালেই চিনি আগের দামে বিক্রি হবে বলে ঘোষণা দেয়।
চিনি ছাড়াও টিসিবির অন্য পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১৫০ টাকায় খেজুর ও ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান জানান, রমজান উপলক্ষে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য দরকারি পণ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতিও শেষ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে সারাদেশে পণ্যগুলো বিক্রি শুরু করবে টিসিবি।
বুধবার টিসিবির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্য তেল-ডাল-চাল-চিনি) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হবে।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিব্বত মোড়ের ২০০ গজ পূর্বে কলোনি বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
এই বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ এবং সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।