দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ারার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মাইজভান্ডার রহমানিয়া মনজিলস্থ চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তার নিজ বাস ভবনে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ফটিকছড়িতে নৌকা প্রতীকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, সেহেতু উনার প্রতি সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্বও বটে। এমতাবস্থায় ফটিকছড়িতে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা আমি সমীর সমীচীন মনে করি না। তাছাড়া আমি যদি নির্বাচনের মাঠে থাকি তাহলে ভোটের যে সমীকরণ হবে, সেখানে আমার প্রাপ্ত ভোটের জন্য নৌকার বিজয় নিশ্চিতকরণের বাধার কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে ও ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আমি (নজিবুল বশরর মাইজভান্ডারী, এমপি) আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।’
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ নজিবুল বশর। পরে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন’ নামে একটি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে যোগ দিয়ে ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে জোটগত মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভান্ডারী জোটগত মনোনয়ন পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকা বঞ্চিত হন। এরপর নিজ দলের মনোনয়নে ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে ফটিকছড়িতে প্রার্থী হন ১৪ দলের নেতা ভান্ডারী। নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্য ভান্ডারীর পক্ষে তার ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী গণসংযোগ ও পথসভা করেন। তিনি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা করেছিলেন।