কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার রাতে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় চার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। হামলায় আরো দুই রোহিঙ্গা আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর জামতলী ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালানো হয়। হামলাকারীরা মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেটের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসার সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এক দিনেই আরসা সন্ত্রাসীদের হাতে চার রোহিঙ্গা হত্যায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন আগে বান্দরবান জেলার একটি আদালতে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিসহ তার ৪৯ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো শামীম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরসার ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী দল ১৫ নম্বর জামতলী ক্যাম্পে অপর রোহিঙ্গা গ্রুপ আরএসওর সদস্যদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং দা-ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি হামলায় চার রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ এবং গুরুতর আহত হয়। আহতদের ক্যাম্পে অবস্থিত এমএসএফ হাসপাতালে নেয়ার পথে মো জোবায়ের (১৬) নামে একজন, হাসপাতালে নেয়ার পর আনোয়ার সাদেক (১৭) নামে অপর এক রোহিঙ্গা মারা যান। মো. জোবায়ের ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি ৩ ব্লকের মোহাম্মদ আলীর পুত্র। আনোয়ার সাদেক একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিকের পুত্র। আহত দুই রোহিঙ্গাকে এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই এপিবিএন ও থানা পুলিশ রাতে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ওসি শামীম হোসেন আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আরসার একদল সন্ত্রাসী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকে গিয়ে আবুল কাশেম নামে এক রোহিঙ্গাকে তার বাড়ি থেকে বের করে উপুর্যুপরি গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত আবুল কাশেম উক্ত ক্যাম্পের আবুল বশরের পুত্র এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে আরসার বিরুদ্ধে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পরপরই এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এনিয়ে মঙ্গলবার এক দিনেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় চারজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমাম হোসেন নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক দিনেই ৪ জন নিহত
গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার রাতে পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় চার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। হামলায় আরো দুই রোহিঙ্গা আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উখিয়া উপজেলার ১৫ নম্বর জামতলী ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালানো হয়। হামলাকারীরা মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেটের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসার সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এক দিনেই আরসা সন্ত্রাসীদের হাতে চার রোহিঙ্গা হত্যায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দুদিন আগে বান্দরবান জেলার একটি আদালতে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিসহ তার ৪৯ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো শামীম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরসার ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী দল ১৫ নম্বর জামতলী ক্যাম্পে অপর রোহিঙ্গা গ্রুপ আরএসওর সদস্যদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং দা-ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি হামলায় চার রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ এবং গুরুতর আহত হয়। আহতদের ক্যাম্পে অবস্থিত এমএসএফ হাসপাতালে নেয়ার পথে মো জোবায়ের (১৬) নামে একজন, হাসপাতালে নেয়ার পর আনোয়ার সাদেক (১৭) নামে অপর এক রোহিঙ্গা মারা যান। মো. জোবায়ের ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি ৩ ব্লকের মোহাম্মদ আলীর পুত্র। আনোয়ার সাদেক একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ শফিকের পুত্র। আহত দুই রোহিঙ্গাকে এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পরপরই এপিবিএন ও থানা পুলিশ রাতে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ওসি শামীম হোসেন আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আরসার একদল সন্ত্রাসী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকে গিয়ে আবুল কাশেম নামে এক রোহিঙ্গাকে তার বাড়ি থেকে বের করে উপুর্যুপরি গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত আবুল কাশেম উক্ত ক্যাম্পের আবুল বশরের পুত্র এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে আরসার বিরুদ্ধে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পরপরই এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এনিয়ে মঙ্গলবার এক দিনেই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় চারজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমাম হোসেন নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।