পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটসহ সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেছেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শনিবার সকাল ৯ টার দিক প্রতিনিধি দলটি স্পীডবোটযোগে এসে বাংলাবাজার ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিনিধি দলটি জনসভায় সারাদেশ থেকে নৌযানে আসা মানুষের জন্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখেন। এসময় তারা লঞ্চ ঘাট ও জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, জনসভাস্থলে ৩০ জুন পর্যন্ত বণার্ঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এরসাথে সারাদেশেই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আরো চমক থাকবে। জনসভা সফল করতে প্রতিদিনই আমাদের মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দ আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ এখানে আসবেন তারা যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারেন তার সকল সুযোগ সুবিধা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে চীফ হুইপ বলেন, আমার ধারনা ১০ লাখের অনেক বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসবেন। সারাদেশের মানুষই সেদিন পদ্মা সেতুর জনসভার দিকে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঐতিহাসিক জনসভার মূল সমন্বয়ক চীফ হুইপ মহোদয়। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবেই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আজও চীফ হুইপ মহোদয় ঘাট ব্যবস্থাপনা দেখিয়ে দিলেন। ৩শ’র উপরে বড়, মাঝারি লঞ্চ এই জনসভায় আসবে। সেগুলোর ব্যবস্থাপনার বিষয় নির্দেশনা দিলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এত উৎসবমুখর অনুষ্ঠান আর কখনো হয়নি। যেটা ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হতে যাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশটিই সেদিন থাকবে পদ্মা সেতুর জনসভার দিকে। পুরো বাংলাদেশই ওই দিন জনসভা হয়ে যাবে।
নৌযান শ্রমিকদের বেকার হয়ে পড়ার ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, তখন এদেশে কেউ বেকার রবে না। সবারই কর্মসংস্থান হবে।