মহুর্মুহু সংঘর্ষে উত্তাল ফিলিস্তিন-ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত উভয় দেশে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের ওপর হামলায় হামাসের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছে ইরান। ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ-র জানিয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উপদেষ্টা ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি হামলার পক্ষে কথা বলেছেন।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে ইব্রাহিম রাইসি তাদের সঙ্গে কী কথা বলেছেন-তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দুই পক্ষকেই সহিংসতা বন্ধের আহবান জানায়। তবে পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে দেশটির ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেছেন, আমি গভীরভাবে ইসরায়েলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষা এবং সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগ কাজ করবে।এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, আমি সকাল বেলা ইসরায়েলি নাগরিকদের উপর হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার খবরে মর্মাহত। ইসরায়েলের তাদের নিজেদের রক্ষা করার সবরকম অধিকার আছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন তীব্র ভাষায় এই হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা জানাই।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নিরীহ বেসামরিক লোকদের উপর সহিংসতা ও রকেট হামলা এখনি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।