অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা কখনোই গরিব মারার বাজেট দেইনি। গরিব হওয়ার যন্ত্রণা আমি বুঝি। এবারের বাজেট ছাড়া আমি গত তিন বছরে তিনটা বাজেট দিয়েছি। এবারের বাজেটসহ গত তিনবারের কোনো বাজেটই গরিব মারার ছিল না। আমরা সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে বাজেট দেই।’
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এবার আমরা যে বাজেট প্রণয়ন করেছি, সেটি আমার মনে হয় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাজেট। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এবারের বাজেট দেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর (২০১৮ থেকে ২০২১ সাল) আপনারা ঠকেননি। যা বলেছি, তা-ই হয়েছে। গরিব হওয়া যে কত কষ্টের সেটা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝি। প্রত্যেকটা গরিব মানুষকে সামনে রেখেই বাজেট করি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন, যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ আসে, চ্যালেঞ্জ শুধু একা আসে না, সুযোগও নিয়ে আসে। যেমন- আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় নেই। কিন্তু আমরা করছি। সে জন্যই বলি, চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সুযোগ তৈরি হয়।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের অনেক পণ্যের দাম একটু বেশি, এটা সত্য। তবে এটা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। এর ফলে সারাবিশ্বেই নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখানে কারও হাত নেই। এ জন্য অনেকে গরিব মারার বাজেট বলছে। তবে আমরা গরিববান্ধবসহ দেশের সাধারণ জনগণকে গুরুত্ব দিয়েই আগামী বাজেট তৈরি করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ।