গোলাম মাকিদ মুনমুন :
মাওলানা ভাষানীর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহযোদ্ধা্ বাবু সুনিল গুপ্তর ১৪ তম মৃত্যবার্ষিকী। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় রিপোর্টাস ইউনিটিতে প্রয়াত জাতীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী বাবু সুনীল কুমার গুপ্তের স্বরন সভার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার স্বরণসভায় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি একান্ত ভাবে কামনা করেছেন আয়োজকরা।
মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাষাণী এই উপমহাদেশের একজন বরেন্য রাজনিতীবিদ। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ই ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি প্রথম জীবনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেসের নেতা ছিলেন, এর পরে তিনি ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের নেতা হন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীমলীগ গঠন করেন এবং সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৫৪ সনের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে তিনি অন্যতম নেতা ছিলেন, ঐ জোটের আরেকটি নাম ছিল “হক-ভাষাণী” পরিষদ। আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে ১৯৫৬ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। ন্যাপ ছিল চিনের মাও সেতুং পন্থী বামপন্থী দল।
তখল সবাই তাঁকে বামপন্থী নেতা বলতে শুরু করলেন। তবে মাওলানা ভাষাণী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং একজন ধর্মপ্রান মুসলমান ছিলেন। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানীদের ওয়ালাইকুআস্সালাম বলে পূর্ব পাকিস্তানের বিভক্তির প্রথম ঘন্টা তিনি বাজিয়েছিলেন। তিনি মুজিব নগর সরকারের উপদেস্টা পরিষদের প্রধান উপদেস্টা ছিলেন। ১৯৭৬ সনে ফারাক্কার বাঁধ বিরোধী লংমার্চ করেছিলেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে আমৃত্য বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বহুবার জেল খেটেছেন। বাবু সুনিল গুপ্ত তাঁরই একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন। সুনিল গুপ্তের জন্ম বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায়। তিনিও অত্যান্ত মেধাবী রাজনিতীবিদ ছিলেন।
তিনি একাধিকবার করিশাল ১ আসন থেকে এম পি নির্বাচিত হয়েছেন এবং একাধিকবার একাধিক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্ব বেশ দক্ষতার সহিত পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও এলাকার উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। আজ তাঁর মৃত্যবার্ষিকী, আজকের এই দিনে প্রয়াত বাবু সুনিল গুপ্তের বিদায়ী আত্মার স্বর্গীয় শান্তি কামনা করছি।