পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম-এর মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আজ এক বিবৃতিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রায় দুই বছর যাবত কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন আ ন ম শামসুল ইসলাম। তার নামে সরকারের ছত্রছায়ায় একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে ৯০ টির অধিক মামলায় জড়ানো হয়েছে। এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মাঠ নেতৃত্ব শুন্য রাখার অপচেষ্টা হিসেবে তাকে এ সকল মামলায় জড়ানো হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম একজন সজ্জন রাজনীতিবীদ ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে শারীরিকভাবে অসুস্থ। ঠুনকো মামলায় তিনি বারংবার জামিন পেলেও সরকারের ইশারায় তাকে কারাগার থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি তিনি সকল মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় সরকার নতুন সাজানো মামলায় তাকে পুনরায় গ্রেফতার করেছে। যার মাধ্যমে সরকার তাকে সকল ধরনের নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। মূলত দেশ পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থ হয়ে সরকার বিরোধী দলের নেতৃত্বের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের অপশাসনে দেশের মানুষের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ কথা সরকার ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। তাই সরকার চায় না বিরোধী নেতৃত্বের হাত ধরে দেশের সরকার বিরোধী কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠুক।
তারা আরও বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা। দেশে শ্রমজীবী মানুষের যে দুঃসময় চলছে এই সময় আ ন ম শামসুল ইসলাম কারাগারের বাইরে থাকলে নিঃসন্দেহে তার সামর্থ্যরে সবটুকু উাজাড় করে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতেন। শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নিরন্তর ছুটে যেতেন। সরকার তাকে কারাগারে আটক রেখে শ্রমজীবী মানুষের সেবা করা থেকে বঞ্চিত করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য সকল দল মতের নেতাকর্মীদের অবাধে রাজনীতি করার অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এজন্য সর্বপ্রথম কারাগারে বন্দি থাকা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সকল রাজবন্দিদের ঈদের পূর্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।