সড়কের পাশে মাঠে সন্তান প্রসব করেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী (২৫)। পুলিশের সহায়তায় ওই নারী ও নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
ওই নারী সন্তানকে হাসপাতালে রেখে চলে যান। অবশেষে নবজাতকটির ঠাঁই হলো আগৈলঝাড়ায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে।
গত বুধবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা উজিরপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদের পাঠানো নবজাতকটিকে নিজ হেফাজতে বুঝে নেন।
উজিরপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ আমারবরিশালটুয়েন্টিফোরকে জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী টোলপ্লাজা সংলগ্ন বালুর মাঠে ওই নারী ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এটা তাঁর প্রসব করা দ্বিতীয় পুত্র।
ওই রাতেই উজিরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শেখ আঁখি খানম বিষয়টি কাউন্সিলরের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির সময় মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে সবার অগচরে পরদিন ওই নারী হাসপাতাল থেকে চলে যান।
এদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর পুত্র সন্তান জন্মের খবরে উৎসুক জনতা হাসপাতালে ভিড় করেন। একাধিক ব্যক্তি নবজাতকটি তাঁদের পরিবারে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাঁদের কাউকেই দেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ আমারবরিশালটুয়েন্টিফোরকে বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে উজিরপুর উপজেলার ইচলাদী ও তার আশপাশ এলাকায় ঘুরতে দেখেছেন স্থানীয়রা।
এর আগে সোনার বাংলা বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী আরও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ওই সন্তানটিকে তত্ত্বাবধানের জন্যও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে (আগৈলঝাড়ার গৈলায়) পাঠানো হয়েছিল। নবজাতক সন্তানকে বিভাগীয় বেবী হোমে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা আমারবরিশালটুয়েন্টিফোরকে জানান, নবজাতকটি তিনি বেবী হোমে গ্রহণ করেছেন। নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। স্টাফরা তাকে গ্রহণ করে মাতৃস্নেহে আদরে পালন করছেন।