তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মেটা ভার্সন কিংবা ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর পক্ষেই সরাসরি গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। সে কারণে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকেই দেশের মাটিতে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক এবং নাহিদ খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম, নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এতে বাংলাদেশ ও ইউএস এর আইটি/আইটিইএস খাতের ব্যবসায়ীগণ অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানীয় দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ অর্জন করেছি। আইসিটি সেক্টরে গত ১৩ বছরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। দেশে ৯০ শতাংশ নাগরিক ই-সার্ভিসের আওতায় এসেছে। নানা উদ্যোগের ফলে ২০১০ সাল থেকে দেশের আইসিটি খাতেপ্রবৃদ্ধির হার গড়ে ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। আড়াই হাজারের বেশি স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই ডিজিটাল সেবা ভিত্তিক ব্যবসা করছে। স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রায় সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল কর্মীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৩০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ ই-সার্ভিস প্রদান, ২০৩১ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, অগ্রসরমান অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এবং মাথাপিছু ১২ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষমাত্রা নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি।
সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশী ববি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেন।