বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আরো আট দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে রাখা হয় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তার নতুন করে আট দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেমামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক আবুল বাশার এ আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আদালতের যাত্রাবাড়ীর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর উত্তরা থেকে ডা: শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। তার ছেলের (সাদিক সাইফুল্লাহ) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ডা: শফিকুর রহমান জামায়াতের আমির হিসেবে শপথ নেন বছর তিনেক আগে। এরপর ২০২৩-২৫ কার্যকালের জন্য আবারো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন তিনি।
গত ২৭ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর অফিস সেক্রেটারি আ ফ ম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় তিনি ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।