নয়া পটলে বিএনপি কার্যালয় এলাকাজুড়ে এখন শুনশান নিরবতা। নাইটেঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ দুটি রাস্তায় জনসাধারনের চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যাংকে কর্মরতদের পরিচয় পত্র প্রদর্শনের পর চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
সকাল থেকে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে রায়টকার রেখছে পুলিশ। এছাড়া সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের আশপাশে দোকান, মার্কেট, ব্যাংক এখনো বন্ধ রয়েছছে। শুধুমাত্র পরিচয় পত্র প্রদর্শনে পরীক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের চলাচল শিথিল করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, তাকে চেকপোস্টে প্রথমে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। পরে তিনি আইডি কার্ড প্রদর্শন করে নয়া পল্টনের রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ পান।
বিএনপি অফিস সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয় আশেপাশে অসংখ্য পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কাল সংঘর্ষের পর থেকেই এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গতাকল রাজধানীর নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহূর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এছাড়া ওই সময়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।