দেশের স্বাধীনতার গৌরব এবং সৃজনশীল শিল্পের স্বাধীনতা—এ দুইয়ের প্রতি রয়েছে ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙের বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ। দেশীয় সব উৎসব-পার্বণে বিশ্বরঙের থাকে বিশেষ আয়োজন। বিশ্বরঙের ফ্যাশনের মূল ভাবনা গড়ে উঠেছে দেশীয় আত্মপরিচয়কে ঘিরে।
বিশ্বরঙ জানিয়েছে, বিজয় দিবসের পোশাকগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, দায়িত্ব ও মূল্যবোধ থেকে করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বরঙের রয়েছে লাল-সবুজের বিশেষ আয়োজন। দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে পোশাকের নকশায়।
টি-শার্টে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকার গ্রাফিক্যাল ফর্মের নান্দনিক উপস্থাপনায় টাইফোগ্রাফি, ক্যালিওগ্রাফির সমন্বয়। শাড়ির আঁচল যেন একটি সবুজ জমিনের মাঝে টকটকে লাল সূর্য, থাকছে দেশাত্ববোধক গানের টাইফোগ্রাফি, স্মারক ডাক টিকেট। দেশীয় রং, দেশীয় কাপড় এ আয়োজনের মূল উপাদান। বিজয়ের এই ডিসেম্বর মাসজুড়ে তাই লাল-সবুজকে নিয়েই বিশ্বরঙের যত আয়োজন।
শীতের আগমনে পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। বিশ্বরঙের শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ সংবলিত লেখা ও লাল-সবুজ রঙের মাধ্যমে উঠে এসেছে দেশীয় ভাবনা। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুসঙ্গ হিসেবে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিন ইত্যাদি।
বিশ্বরঙের বিজয় দিবসের বিশেষ আয়োজনে বিশেষ ভাবে থাকছে ‘বাংলাদেশ’ লেখা সংবলিত টি-শার্ট। শুধু বিজয়ের মাসেই নয়, বরং সারা বছরই লাল-সবুজ হতে পারে ফ্যাশন-সচেতনের ফ্যাশন ভাবনা, দেশপ্রেমী মনের পরিচয়।