বরিশালের তিন নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুই ছুই করছে। হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় তলিয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে সাময়িক নদী পানি বৃদ্ধি পেলেও সহসাই পানি কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার।
বুধবার সকালে প্রেরিত বরিশাল পাউবো’র হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে ভোলার তজুমুদ্দিন পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৩ মিটার) ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই দিন বেলা পৌঁনে ১২টায় বরগুনার পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইদিন বরিশাল বিভাগের আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুই ছুই করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা (৩.৪১ মিটার) ছুই ছুই করে ৩.৪০ মিটার উচ্চতায়, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৯০ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঝালকাঠী পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.০৮) ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮১ মিটার) ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৬৮ মিটার) ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৬৫ মিটার) ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৫৫) ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় প্রতিদিন দুইবার ডুবছে বরিশালের বিস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল। আবার ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে। এতে ওই সব এলাকায় কৃষি জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়ছে জনসাধারণ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে পানি বাড়ার কোন পূর্বাভাস নেই। সহসাই নদীর পানি কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন।