ইনিংসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের চাপে রানই পাচ্ছিল না ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। উইকেট কামড়ে তাদের মোকাবেলা করেছেন জজ বাটলার ও ইয়ন মরগ্যান। প্রথম ১২ ওভারে তিন উইকেটে ৬১ রান তোলে ইংল্যান্ড পরের আট ওভারে বদলে যায়। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ক্যারিয়ার ও বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাটলার। তার ব্যাটে লঙ্কানদের সামনে লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে ইংলিশরা।
আজ সোমবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। বাটলার ঝড়ে শেষ আট ওভারে তোলে ১০২ রান। ছয়টি করে চার ও ছক্কায় ৬৭ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইংনিস খেলেন বাটলার।
টসে হেরে ব্যাট করতে এসে ইংলিশদের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে ভানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলি মিস করে বোল্ড হন জেসন রয়। মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তিনে এসে ব্যর্থ হন ডেভিল মালান। ৬ রান করে দুশমন্থ চামিরার শিকার হন তিনি। দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন জনি বেয়ারস্ট। গোল্ডেন ডাকে তাকে ফেরান হাসারাঙ্গা।
পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারানোর পর চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের সঙ্গে উইকেট কামড়ে দারুণ জুটি গড়েন বাটলার। শুরুতে রান পাচ্ছিলেন না তারা। তবে ১৩তম ওভার থেকে বদলে যায় বাটলারদের ব্যাটের গতিবিধি। ঝড়ো ব্যাটে ১১২ রানের জুটি গড়ে এই যুগল। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় হাসারাঙ্গার তৃতীয় শিকার হন মরগ্যান।
শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পেতে বাটলারের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। শুরুতে চার হাঁকিয়ে এরপর দুইবার ডাবল নেন তিনি। শেষ বলে পাঁচ দরকার ছিল। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি নিশ্চিত করেন বাটলার। ক্যারিয়ারের প্রথম ও বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।