ভাতের সঙ্গে পাতে যে তরকারিই থাকুক না কেন, সঙ্গে একটু ডাল থাকা চাইই চাই। মুগ, মসুর, অড়হড়, বুট নানা ধরনের ডালের স্বাদ খাবার পাতে আনে পরিপূর্ণতা। পুষ্টিবিদদের মতে, এটি এমন একটি খাবার যা শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। ডাল পছন্দনীয় হলেও অনেকেই এই খাবারটি খেতে পারেন না। কারণ অ্যাসিডিটির সমস্যা। ডাল খেলেই শুরু হয় বুক জ্বালাপোড়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট্ট একটি উপায় কাজে লাগালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে সহজেই। আসুন জেনে নিন এর সমাধান –
- মসুর, মুগ বা অড়হড়- যেকোনো ডালই রান্নার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয়। গৃহিণীরা মনে করেন কিছুক্ষণ না ভিজিয়ে রাখলে ডাল সেদ্ধ হবে না। কেবল এই সুবিধা নয়, ডাল ভিজিয়ে রাখার আরও সুবিধা রয়েছে। তবে ডাল সকালে নয় বরং আগের রাতে ভিজিয়ে রাখলে বেশি সুফল মেলে।
- ডালে রয়েছে পলিফেনল ও ট্যানিন নামক দুটি রাসায়নিক উপাদান। পানিতে দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখলে এই দুটি উপাদান কমে যায়। এরপর এই ডাল রান্না করলে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুলো শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
- ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর মিনারেলের হার বেড়ে যায়। তা ছাড়া ডালে ফাইটেজ নামের এনজাইম রয়েছে যা ভিজিয়ে রাখলে ফাইটিক অ্যাসিডে ভেঙে সক্রিয় হয়ে যায়।
এইভাবে ডাল ভিজিয়ে রান্না করলে আর অ্যাসিডিটির সমস্যা হবে না। বদহজম, পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে খাবার খাওয়া শেষে একটি এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন। কিংবা মুখে রাখতে পারেন একটি লবঙ্গ। এর কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজমে সহায়ক। এলাচ বা লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
আরেকটি উপায় হলো আদা, পুদিনা আর মৌরি একসঙ্গে থেতলে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া। এতেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এ জাতীয় আরো খবর..