আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বরে। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সারাদেশের বিভিন্ন শাখায় সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী নভেম্বরেই মেয়াদ শেষ হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির। কিন্তু তার আগেই এই দুই শাখায় সম্মেলন হতে পারে বলে খবর রটেছে। ফলে পরবর্তী কমিটিতে আসতে এর মধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উত্তর-দক্ষিণের প্রায় ডজনখানেক নেতা। পোস্টার প্রকাশ, নিয়মিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার প্রবণতাও দেখা গেছে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা আবারও মহানগরের নেতৃত্ব দিতে চান। আনুষ্ঠানিকভাবে দিন-তারিখ চূড়ান্ত না হলেও মহাগরের পরবর্তী নেতৃত্বে নিয়ে মহানগর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দায়িত্বরত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশ্বাস মহানগরকে সুশৃঙ্খলভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নেতাদেরই আনা হবে শীর্ষ পদে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতারা ঢাকা মহানগরের সম্মেলন করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে মহানগরের সম্মেলন হবে এমন দৃঢ় বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। ঢাকা বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একাধিকবার দলীয় সভা-সমাবেশে বলেছেন, ডিসেম্বরের আগেই হবে মহানগরের সম্মেলন। এ ছাড়া শিগগিরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দলের ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মহানগর শাখার সম্মেলনের তারিখও চূড়ান্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঢাকা মহানগর শুধু নয়, সারাদেশের সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতেই সম্মেলন হচ্ছে। গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব আনার মধ্য দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে মহানগর ও তৃণমূল আওয়ামী লীগকে। স্বজনপ্রীতি নয়, যোগ্যতার মধ্য দিয়েই আসতে হবে নেতৃত্বে।
২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সে অনুযায়ী তিন বছর মেয়াদি বর্তমান কমিটির সময় আগামী ২৯ নভেম্বর শেষ হবে। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আবারও শীর্ষ পদে থাকতে চান। তবে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, ডা. দিলীপ রায়, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন কামাল ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, আকতার হোসেন শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। এ ছাড়া দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদও শীর্ষ পদে আসতে চান। তবে এর জন্য তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ইঙ্গিতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিও পরবর্তী কমিটিতে থাকতে চান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে হাবীব হাসান, মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মিজানুর রহমান মিজানের নামও রয়েছে আলোচনায়।