রোজা রাখলে অনেকেরই মাথাব্যথা হয়। যদিও মাইগ্রেন, সাইনোসাইটিসসহ বেশ কিছু কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তবে রোজা রাখার কারণে কেন মাথাব্যথা হয় তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথাব্যথার কয়েকটি ধরন আছে। এর মধ্যে অন্যতম দুটি হলো, টেনশনটাইপ হেপঅ্যাক ও মাইগ্রেন। সাধারণত ৯৫ ভাগ মানুষের এসব মাথাব্যথা হয়। আর পাঁচ ভাগ মানুষের অন্যান্য কারণে মাথাব্যথা হয়।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে আসলে মাথাব্যথা হতে পারে। রক্তে শর্করার ছোট পরিবর্তনও মস্তিষ্কের ব্যথা রিসেপ্টরকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে রোজাদারদের মাথাব্যথা হয়। অনেক বিজ্ঞানী ব্লাড সুগার বাড়া বা কমে যাওয়াকে রোজার মাথাব্যথার কারণ মনে করেন না।
রোজায় রেখে দীর্ঘক্ষণ কিছু না খাওয়ার কারণে ক্যাফেইন গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন সবাই। যা ক্যাফেইনে আসক্ত তারা তা গ্রহণ না করার ফলে মাথাব্যথা হতে পারে। আবার রোজা রাখার ফলে দীর্ঘসময় শরীরে পানি প্রবেশ করে না, ফলে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়েও মাথাব্যথা হতে পারে। মানসিক চাপের কারণেও মাথাব্যথা হয় অনেকের।
রোজা রেখে মাথাব্যথা সারাতে যা করবেন
১. ইফতার থেকে সাহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য তরল খাবার বেশি খেতে হবে।
২. যারা আগে থেকে মাথাব্যথার ওষুধ খান, তাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ বাদ দেয়া যাবে না।
৩. মাথাব্যথা কমাতে মাথা ও ঘাড়ে বরফের প্যাক লাগান।
৪. নিরিবিলি স্থানে বসে কিছুক্ষণ ধ্যানও করতে পারেন। এজন্য গভীরভাবে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন।
৫. মাথাব্যথা কমাতে আকুপ্রেশারের সাহায্য নিতে পারেন। এজন্য বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর মধ্যেকার ভি স্থানের প্রেশার পয়েন্ট ম্যাসেজ করুন। এতে মাইগ্রেন কিংবা যে কোনো মাথাব্যথা কমবে দ্রুত। ১৫-২০ সেকেন্ড বৃত্তাকার গতিতে অন্য হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৬. মাথাব্যথা সারানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চোখ বন্ধ করে একটি শান্ত ও অন্ধকার ঘরে বসে বা শুয়ে থাকা। ঘুমালেও মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।