গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে না দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মুখে গণতন্ত্র আর ন্যায় বিচারের কথা বললেও খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত মুজিব স্মারকগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ও ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড দ্য জুডিশিয়ারি’এবং মুজিববর্ষ স্মরণিকা ‘ন্যায়কণ্ঠ’-এর মোড়ক উন্মোচন করে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা পরবর্তী রাজনীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কী হয়েছিল? বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদেছে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস হলো। সেই অর্ডিন্যান্সে বলা হলো, ওই খুনিদের কোনোদিন বিচার করা যাবে না। ওই হত্যায় মামলা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ সব অধিকার হারিয়েছিল। কারবালাতেও বোধহয় শিশু-নারীকে এভাবে হত্যা করা হয়নি। কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছিল ১৫ আগস্টের ঘটনা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিচার সম্পন্ন হলেও হত্যা চক্রান্তের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকেও খুঁজে বের করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুখে গণতন্ত্র আর ন্যায় বিচারের কথা বললেও খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। সবচেয়ে বড় কথা যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গা, তারা সবসময় ন্যায় বিচারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, তারা মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু আমাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আমরা যে ন্যায়বিচার পাইনি, তারপর যখন এই বিচার হল, তখন খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে।