বাড়ির সবার প্রতি খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক সময়ই নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেন না মেয়েরা। তাতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু পুষ্টিগুণের অভাব দেখা যায়। অপুষ্টির কারণে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। ফলে এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে, যাতে সেই অভাব পূরণ হয়ে যায়। জেনে নিন কোন খাবারগুলো।
ডিম: ডিমে শুধু প্রোটিনই নয়, কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি’ও পাবেন। যা সাধারণত মেয়েদের শরীরে এমনিতেই কম থাকে। ডিম দিয়ে নানা রকম রান্না করা সম্ভব। তবে সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। কারও যদি কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তাহলে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন বা সপ্তাহে তিনদিন খেতে পারেন।
দই: দইয়ে প্রচুর ‘গুড ব্যাক্টেরিয়া’ থাকে। হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য দারুণ খাবার। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দইয়ের বিকল্প নেই। গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন আর ক্যালশিয়াম পাবেন। তবে বাড়িতে পাতা দই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বাজার থেকে কোনো ফ্লেভার দেওয়া দই কিনলে সতর্ক থাকুন। তাতে অনেকটা বাড়তি চিনি পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদামে ‘গুড ফ্যাট’ এবং প্রোটিন থাকে। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট, কাজু বাদাম, চিনাবাদাম—সবই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন। কিছু বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা করার আগে খেয়ে নিতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাবেন। এবং সকালের ব্যস্ততায় চটজলদি খাওয়াও হয়ে যাবে।
শাকসবজি: নানা রকমের শাক, লেটুস, ব্রকলির মতো সবুজ শাকসবজি মৌসুম অনুযায়ী প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে খাবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাবেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেন, তাহলে বেশি উপকার পাবেন।
ওটস: চটজলদি স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য ওটসের মতো ভালো জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওটস। গ্লুটেন যদি আপনার সহ্য না হয়, তা হলে ওটস আপনার ভালো বন্ধু হয়ে উঠবে। ওটস গুঁড়ো করে রুটি, কেক, প্যানকেক—সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওটসের খিচুড়ি। বিশেষ করে আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন।