ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের পর করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসের এই নতুন রূপ।
দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জানান, ওমিক্রনে আক্রান্তদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠছেন তারা। গত পাঁচদিনে কমপক্ষে ১৩টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে। সংক্রমণরোধে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে। নতুন ও পুরনো ধরনে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।তবে, ওমিক্রন কতোটা সংক্রমক, কতোটা তীব্র, টিকাসহ আর কিভাবে প্রতিরোধ সম্ভব-সে বিষয়ে গবেষণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু এখনও ভাইরাসের নতুন রূপের ভয়াবহতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জিনের বিন্যাসের একাধিক বার বদল ঘটানোয় মনে করা হচ্ছে করোনার এই রূপ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, ওমিক্রন সম্পর্কে কী জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
১। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আগে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রকম ব্যক্তিরা ফের খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারে ওমিক্রনে।
২। এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে কোনও ভাইরাস যত সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক। করোনাভাইরাসের ডেল্টা এবং অন্য রূপের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এই রূপকে ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে হু।
৩। কোভিডের বিভিন্ন টিকার উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কতটা, তা জানার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
৪। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আরও জটিল রোগ ঘটাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। করোনার অন্য রূপে আক্রান্ত হলে যে সব উপসর্গ দেখা যায়, তার থেকে আলাদা কোনও উপসর্গ ওমিক্রন ডেকে আনছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৫। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেড়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি। কেবলমাত্র ওমিক্রনের জন্য এই বৃদ্ধি কি না, তা বলার পর্যাপ্ত তথ্য এখনও নেই বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।