২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে উল্লেখ করেছে। তাইওয়ানের এ সংক্রান্ত এক সমালোচনার জবাবে দোহা সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটি বেইজিং-এর ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে যাবে।
যারা চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন তাদের সবাইকে ‘হায়া’ কার্ডের জন্য আবেদন করতে হচ্ছে। কারণ এই কার্ড বিশ্বকাপ চলার সময় কাতারের ভিসা হিসেবে কাজ করবে। মঙ্গলবার এই কার্ডের আবেদন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের জাতীয়তা অংশের ড্রপ-ডাউন তালিকায় তাইওয়ানের নাম ছিল না।
এর কারণ হিসেবে কাতারের এক কর্মকর্তা তাইওয়ানের নাগরিকদের চীনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানান। এরপর গতকাল (বুধবার) ওয়েবসাইটে ‘তাইওয়ান, চীনা রাজ্য’ এই কথামালা যুক্ত করা হয়। সঙ্গে তাইওয়ানের পতাকা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ঐ শব্দগুলোও তাইওয়ানের নাগরিকদের ক্ষুব্ধ করে।
বুধবারই তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ানে উ বলেন, ‘আমাদের দেশকে খাটো করার চেষ্টা মেনে নেয়া যায় না।” তারা আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করে অবিলম্বে বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।’
তাইওয়ানের এই বক্তব্যের জবাবে কাতারের কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানে অটল থাকার কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে চীনা পত্রিকা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। দৈনিকটি বলেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে চীনের ব্যাপারে কাতারের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়া বা তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পথে হাঁটেনি কাতার। দোহা তাইওয়ানের ব্যাপারে চীনের ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলে। চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সহযোগিতায় যেকোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আচরণ করার ব্যাপারে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং।
সূত্র : পার্সটুডে