নগরীর নাজিরের পোল থেকে বাজার রোড হয়ে চকবাজার পর্যন্ত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে মহানগর বিএনপি। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগ হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। ক্ষমতাসীনরা পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বুধবার দুপুর দেড়টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে বিভাগীয় বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, ইতিমধ্যে জেলার উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় ক্ষমতাসীনরা হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পটুয়াখালী শহরে বিএনপি’র মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে। বরগুনায় যুবদল নেতা মিরাজুর রহমান সৈয়দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র উপর ক্ষমতাসীনদের নিপীড়ন আরও বেড়েছে।
গণসমাবেশমুখী বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকাতে ক্ষমতাসীনরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মোড়ে মোড়ে চৌকি স্থাপন করেছে। এর আগে মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস এবং থ্রি হুইলার বন্ধের ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছে ক্ষমতাসীনরা। সব বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি ৫ নভেম্বর বরিশালে সর্ববৃহৎ সমাবেশ করবে বলে জানান তিনি। ৫ নভেম্বরের বিভাগীয় গণসমাবেশ এবং ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার আদায় করা হবে বলে সেলিমা রহমান বলেন।
এ সময় বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামন ফারুক ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নগরীর নাজিরের পোল থেকে বাজার রোড হয়ে চকবাজার পর্যন্ত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে মহানগর বিএনপি। গণসংযোগকালে ডা. জাহিদ হোসেন ছাড়াও যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।