নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন আলোয় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যবই পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে এ বছর বই উৎসবের চেনারূপ পাওয়া না গেলেও স্কুলে স্কুলে বই বিতরণ কার্যক্রম ঠিকই হয়েছে।
এবারের শিক্ষাবর্ষে চার কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠ্যপুস্তক ও পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে। তবে, এ বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা।
চেনা ঘ্রাণ, চেনা আমেজ। হাতে ঝকঝকে নতুন পাঠ্যবই। বইয়ের গন্ধে প্রাণখোলা হাসিতে খুনসুটিতে কোমলমতি শিশু-কিশোররা।
বর্ণমালার ছন্দে হারিয়ে যাওয়ার উল্লাস তাদের চোখে-মুখে। হিমের পরশমাখা শুভ্র সকালে একরাশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস ডানা মেলে স্কুলের প্রাঙ্গণে। এ দৃশ্যের উৎসব ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব ক’টি বিদ্যালয়ে।
শিশুরা বলছে, নতুন বছরের বই পেয়েছি। আমরা অনেক খুশি। বাসায় গিয়ে বইগুলো পড়ব।
প্রতি বছরের মতো এবার নেই চিরায়ত সেই বই উৎসবের আনন্দঘন পরিবেশ। সংশয় কাটিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে ঠিকই শিক্ষার্থীরা মেতেছে নতুন বইয়ের আনন্দে।
শিক্ষার্থীদের উল্লাস দেখে অভিভাবক আর শিক্ষকদের মুখেও ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদ্বোধন করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন বছরের ৯৫ শতাংশ বই তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে সেগুলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাকি পাঁচ শতাংশ বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।