প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায়। বিকেল ৫টা থেকে শিক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন থেকে সমস্যার কথা স্বীকার করা হলেও প্রকৃত ত্রুটি কী, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ফলাফলে ত্রুটি থাকায় স্থগিত করতে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে।
প্রকাশিত বৃত্তির ফল স্থগিত কি না? প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমি ব্যাপারটি অধিদপ্তর থেকে জেনে নিই। আপনাদের (গণমাধ্যমকে) বলব।’
দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd), স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকেও।
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। গত ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল ২ ঘণ্টা।