বৃহস্পতিবার, ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ যথাসময়েই হবে ইজতেমা, ছাড় পাবে না সহিংসতাকারীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাংকে ঢুকেছে ডাকাতদল, অভিযানে যৌথবাহিনী আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই: বদিউল আলম মজুমদার বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা-মইনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ খালেদা জিয়া অসুস্থ, শনিবারের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত যেভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের দুই মাসের মধ্যে ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষের নির্দেশ

পানিতে ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ১৩৫ বার পঠিত

‘১৯৮৬ সালের পর এমন পানি দেখি নাই। ইবার মনে অয় ছিয়াশির বন্যারেও ছাড়িয়ে যাবে’ বললেন সিলেট নগরের  এলাকার বাসিন্দারা।

এখান  থেকেই অনুমেয় করা যায় বন্যার ভয়াবহতা। মঙ্গলবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বেড়েছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

উজানে বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার লক্ষাধিক মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সিলেট ও কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার প্রায় দেড় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। বেড়েছে কুশিয়ারা নদীর পানিও।

নদীর পানি উপচে সোমবার থেকেই তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নগরের বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার প্লাবিত এলাকার পানি আরও বেড়েছে। নগরের উপশহর, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ার পাড়, সোবহানিঘাট, মাছিমপুর, তালতলা, কালিঘাট, কাজিরবাজার, শেখঘাট, লালাদীঘির পাড়, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

সকালে নগরের উপশহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অভিজাত এই এলাকার প্রধান সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি। পানি ঢুকে পড়েছে আশপাশের দোকানপাট ও এলাকার বাসাবাড়িতেও। পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।

নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া ও নগরে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানিতে নগর তলিয়ে গেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে নদী খনন করা প্রয়োজন। না হলে প্রতি বছরই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে মানুষকে।’

বন্যাকবলিতদের জন্য নগরের কিশোরী মোহন ও মাছিমপুর বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান।

এদিকে বন্যায় আগেই প্লাবিত হয়ে পড়া পাঁচ উপজেলা সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, ‘উজানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এই বিষয়টা আতঙ্কের। এই সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মুজিবর রহমান বলেন, ‘বন্যার্তদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় আশ্র‍য়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com