ঈদে ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলগামী লাখো মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোরেও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের বাড়তি চাপে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় তৈরি হয় ভয়াবহ যানজটের।
শুক্রবার মধ্যরাতেও যানজট দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রীজ পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে যায়। পারের অপেক্ষায় আটকে পরে সহ¯্রাধিক যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হন কর্মস্থলে ফেরা মানুষেরা। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা যানজটে আটকে থেকে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশাযোগে ঘাটের পৌঁছান অনেক যাত্রি। অবশ্য ঘাটে পৌঁছার তাদের ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
শনিবার ভোরের দিকে নদী পারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনের সারি কিছুটা ছোট হয়ে মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ৬ কিলোমিটার বিস্তৃত থাকে। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সারি বড় হবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
অপরদিকে লঞ্চ ঘাটেরও একই চিত্র। এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০ টি লঞ্চের প্রতিটির ধারন ক্ষমতা ১২৫ থেকে ১৭৫ জন। কিন্তুু নেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ। কোন কোন ক্ষেত্রে তারও বেশি। যদিও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চ ঘাটে ভ্রাম্যমান আদালত, রোভার স্কাউটস কাজ করছে। কিন্তু যাত্রিরা কেউ কারো কথা মানতে নারাজ। জোর করে হুরোহুরি করে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে তারা।
এদিকে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটের যানবাহন পারাপারে অচলাবস্থার কারণে বেশির ভাগ যাত্রী ও যানবাহন এই নৌরুট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, এই ঈদে যানবাহন পারাপার নির্বিঘœ করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রাইভেটকার ও যাত্রিবাহি বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। তিনি জানান, ঘাট এলাকায় সিরিয়াল হলেও, খুব বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না। এ রুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কম সময়ের মধ্যেই যাত্রীবাহি যানবাহনগুলো পারাপার হতে পারছে।