গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের শুরুটা যেমন সুন্দর ছিল তেমনি শেষটাও চমৎকার ছিল। আজকের উপনির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেদিক থেকে নির্বাচনটি সফল হয়েছে। নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো।
ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে প্রচণ্ড শীতকে দায়ী করলেন সিইসি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অসন্তুষ্ট হতাম যদি কেউ বলত ভোট দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।
বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ভোট শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন সিইসি। এ সময় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি নতুন সংযোজন। এটি অনেক কার্যকর হচ্ছে। প্রার্থীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়ম হলে তারা সচেতন থাকছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব কি করব না সে সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি।
তিনি বলেন, মাঠে পুলিশ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করবে। তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। ভোটে অত্যন্ত নিরপেক্ষ থেকে যে পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আজকের ভোট সে সবের একটি দৃষ্টান্ত।
সিইসি বলেন, গত ১২ অক্টোবর ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে কিন্তু গণ্ডগোল হয়নি। সেজন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারিনি। যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি তাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেটা আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করি।
১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে যাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা কার্যকর হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর পাইনি। তারা সিদ্ধান্ত কার্যকর করে এক মাসের মধ্যে আমাদের জানাবে। তবে চিঠি পেতেই যদি এক মাস লেগে যায়, তাহলে দেরি হবে।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়ায় পুরো ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর দায়ীদের চিহ্নিত করে ১৩৩ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। পরে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করে সংস্থাটি।