রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পুলিশের কাজে বাধা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষেপের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ ২৭ জন বিএনপি নেতাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে বিএনপি নেতারা জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিন প্রাপ্ত অন্য অন্য নেতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর শরফত আলী সপুসহ ২৭ জন বিএনপি নেতাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাথে ছিলেন আইনজীবী কে আর খান পাঠান ও অ্যাডভোকেট সুজা।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, গত ২৩ মে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ মে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিক্ষের অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপি নেতারা আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ মে নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় ১৬ জন বিএনপি নেতাকে জামিন দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মে জামালপুর সদর থানায় দ্রুত বিচার আইন দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ পাঁচজনকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। তারা হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।