মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের মূল কাজ শেষ হলেও এখন সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। ব্রিজটির কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৯ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরই মধ্যে দুই দফা সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটির কাজ ২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এখন কবে নাগাদ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হবে তা কলাপাড়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ডিপার্টমেন্টও নিশ্চিত করে জানাতে পারেন নি।
তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৫ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মিঠাগঞ্জের মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। পূর্বমধুখালী আর পশ্চিম মধুখালীসহ আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্কুলগামী শত শত শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশেই কাঠের পাটাতন দিয়ে চলাচল করছে এ পথে।
কাঠের পাটাতনের ওই সাঁকোটিও ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। নিত্যকার এ দূর্ভোগ নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ওখানকার যোগাযোগের আয়রণ ব্রিজটি ২০২০ সালের ১১ ফেব্রয়ারি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়। তখন এক কৃষক আনেচ প্যাদা মারা যায়। আহত হয় আরও চারজন। এরপরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাঠের পাটাতনের একটি নড়বড়ে সেতু দিয়ে হেঁটে চলাচল করছে মানুষ। তাও এখন জীর্ণদশায়, ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ দুই বছর।
ব্রিজের মূল কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য বালুমাটি ফেলা হয়েছে। কিন্তু আরও মাটি দিয়ে সংযোগ সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়নি। বর্তমানে সব কাজ বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানালেন।
এলজিইডি কলাপাড়ার উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ জানান, লার্জ ব্রিজ কনস্ট্রাকশন (এলভিসি) প্রকল্পের আওতায় এই ব্রিজটির কাজ চলছে। গার্ডার বসানো হয়েছে। স্ল্যাপও বসানো হয়েছে। সংযোগ সড়কের অসমাপ্ত কাজ এখন বাকি আছে। ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান এ প্রকৌশলী। এখন কবে নাগাদ এ কাজটি প্রকৃত অর্থে সম্পন্ন হবে তা এই দপ্তরও নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ প্রকৌশলী জানালেন, গোটা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করে চালু না করায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।