অর্থপাচারের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ৬ সপ্তাহের জন্য ওই জামিন স্থগিত করেন।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট গোল্ডেন মনিরকে জামিন দিয়েছিলেন। পরে ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। মনিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. অজিবুল্লাহ।
গত বছরের ১১ মে সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মনিরসহ ১০ জনের নামে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন, বোন নাসিমা আক্তার, ভগিনীপতি হাসান উদ্দিন খান, নাহিদ হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল শফিকুল শফিক, সিরাগঞ্জের সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ ও তার ভাই হায়দার আলীকেও আসামি করা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে- ১২ বছরে মনির ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৯টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৭৯১ কোটি টাক। ব্যাংকে জমা আছে ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আসামিদের নামে থাকা ডিআইটি প্রজেক্টের ২৯টি প্লটের বেশির ভাগেই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বাচলে আছে ৩টি প্লট। উত্তরায় শপিংমল গ্র্যান্ড জমজম টাওয়ার ও আল সাফা টাওয়ার এবং হাউজিং কোম্পানি স্বদেশ প্রোপার্টিজে রয়েছে তাদের মালিকানা। আরও আছে বারিধারায় সাড়ে ৮ কাঠার দুটি প্লট, উত্তরার নলভোগ মৌজায় ১২ কাঠা জমি, খিলগাঁওয়ে পৌনে ২ কাঠার একটি প্লট ও কেরানীগঞ্জে আড়াই বিঘা জমি। এছাড়া একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে আসামিদের নামে। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।