অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের দুবছর আজ। ২০২০ সালের এই দিনে রাত ৯টায় কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে ছয় আসামিকে। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স এখন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়।
ডেথ রেফারেন্স শাখা সূত্র জানিয়েছে, বিচারিক আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স এখানে এসেছে রায় ঘোষণার এক সপ্তাহ পর। মামলার নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পর পেপারবুক প্রস্তুত করার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হবে।
সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্র জানায়, সিনহা হত্যাকাণ্ডের দেড় বছরের মধ্যে মামলার বিচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ দুই আসামি ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন দণ্ড দেন ৬ আসামিকে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিররা হাইকোর্টে আপিল করেছেন। পাশাপাশি ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে ডেথ রেফারেন্স শাখায়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে অধস্তন আদালতের মামলার রায়, তদন্ত প্রতিবেদন, এজাহারসহ সব নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানো হয়ে থাকে।
এদিকে সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসার পর তা যাচাই-বাছাই করছে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা। মামলার সব নথি ক্রমানুসারে সাজিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে পেপারবুকের জন্য। আর এ পেপারবুক প্রস্তুত করা হবে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসে। পেপারবুক প্রস্তুত হলেই মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।