বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মো. নজরুল ইসলাম জিতুর (৭০) জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘উনার মতো একজন নেত্রীকে কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই জেলে রাখা হয়েছিল। যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাতেও কোথাও বলা নেই যে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করাকে কি আত্মসাৎ বলা যায়? আর সেটার জন্য কি তাকে জেলে ভরতে হবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলেই উনার এই অসুস্থতার শুরু। দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি যথাযথ চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলেও তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই কারণেই তার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হয়েছে। এর জন্য আমি মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ‘আপনারা সকলে অবগত আছেন, আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পরম সৌভাগ্যের বিষয় হলো, উনি কখনও দেশ ছাড়েননি। সারাজীবন দেশের মধ্যেই থেকেছেন, এখনও আছেন। যেভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আপনাদের সকলের দোয়ার বরকতে তার তুলনায় এখন অল্প কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন। তাই আমরা সবাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জানাজার নামাজের আগে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকার, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূইয়া, কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এ ছাড়াও মরহুমের জানাজায় জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সদস্য নাছির উদ্দীন হাজারী, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম ভূইয়া, সাবেক সভাপতি আশরাফ আলীসহ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।