সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশি সীমানা থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭ জন জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের ধরে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের টেকনাফের কায়ুকখালীয়া ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কায়ুকখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা শওকত আলমের ছেলে শাওন আহমেদের মালিকানাধীন একটি ট্রলার সেন্টমাটিন দ্বীপের অদূরে সীঁতা নামক এলাকায় মাছ শিকারে যায়। এ সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটযোগে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারসহ তাদের নিয়ে যায়।
এর আগে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান (৩৮), আবুল কালাম (৪০), শফি আলম (১৯) এবং আরও একজন রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে টেকনাফ-২ বিজিবি ও টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডারের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরী বলেন, ‘একটি ট্রলারসহ ৭ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’
বিজিবির দেওয়া তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ৩২২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হলেও আরও ১৭টি ট্রলারসহ ১৩৩জনকে ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি।