ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজে হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফাহ সীমান্ত এলাকায় বন্দুক হামলায় একজন ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার পরই গাজায় পাল্টা অভিযানের নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু। এর পরপরই উপত্যকার একাধিক এলাকায় টানা বোমা বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে, ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। তাদের সামরিক শাখা ‘কাসাম ব্রিগেডস’ অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে নিখোঁজ ১৩ জন বন্দির মরদেহ উদ্ধারের কাজ বিলম্বিত হবে এবং মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়াও স্থগিত থাকবে।
তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গাজায় ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটতেই পারে। আমরা জানি একজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছেন, তাই প্রতিক্রিয়া আসবেই। তবুও আমি মনে করি শান্তি টিকিয়ে রাখা সম্ভব।’
অন্যদিকে, রাফাহর সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে হামাস। সংগঠনটির নেতা সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘মরদেহ উদ্ধারে আমাদের কিছু অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু এই বিলম্বের পুরো দায় ইসরায়েলের।’
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, চলমান যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সর্বশেষ এই হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়।