জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার টেটসুয়া ইয়ামাগামি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নারা জেলা আদালতে প্রথম শুনানিতে বিচারক যখন অভিযোগ পড়ে শোনান। তখন ইয়ামাগামি শান্ত স্বরে বলেন, ‘সব সত্য। আমি এটা করেছি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
প্রসঙ্গত, ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি ২০২২ সালের জুলাইয়ে নারায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় শিনজো আবেকে নিজের তৈরি অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি পেছন থেকে কাছে গিয়ে দুটি গুলি ছোড়েন।
শুনানিতে ইয়ামাগামি কালো ফুলহাতা শার্ট ও ধূসর প্যান্ট পরে হাজির হন। তিনি মাঝে মাঝে মাথা নাড়িয়ে বিচারকের বক্তব্য বুঝেছেন বলে জানান এবং আইনি বিষয়গুলো তার আইনজীবীরাই দেখবেন বলে মন্তব্য করেন। খবর জাপান টাইমসের।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দিনই হাসপাতালে মারা যান জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল।
‘আবেনোমিকস’ নামে পরিচিত অর্থনৈতিক নীতির প্রণেতা এবং কট্টর পররাষ্ট্রনীতির জন্য খ্যাত শিনজো আবেকে হত্যার পর রাজনৈতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির পর প্রকাশ্যে আসে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ইউনিফিকেশন চার্চের (যা ‘মুনিজ’ নামেও পরিচিত) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
ইয়ামাগামি তদন্তকারীদের জানান, তিনি আবেকে গুলি করেছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, আবে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছেন, যার কারণে তার মা ও পরিবার আর্থিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
ইয়ামাগামির অভিযোগ, ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রমাণ হিসেবে তার মা ওই চার্চে প্রায় ১০ কোটি ইয়েন (প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার) দান করেছিলেন।