প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের ব্যস্ততম দিনগুলো পার করছেন। গতকাল জাপানে পৌঁছানোর পর দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচি ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান, যিনি মাত্র কয়েকদিন আগে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুই নেতার সাক্ষাৎ হলে ট্রাম্প ও তাকাইচি পরস্পর করমর্দন করেন। এসময় ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রীর করমর্দন সম্পর্কে মন্তব্য করেন, ‘এটি খুব শক্তিশালী করমর্দন ছিল।’
এসময় ট্রাম্প জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির ভূমিকাকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেন। জাপানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপরেও জোর দেন তিনি। অতীতে বিদেশি নেতাদের সমালোচনা করলেও এবার ট্রাম্প কেবলই তাকাইচির প্রশংসা করেন।
ট্রাম্প বলেন, জাপানকে সাহায্য করতে আমরা সবকিছুই করব। আমরা একে অপরের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র। দুই নেতা তাদের দেশগুলোর জোটের ‘স্বর্ণযুগ’ বাস্তবায়নে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির বিষয়বস্তু অস্পষ্ট থাকলেও নথিটি এক পৃষ্ঠারও কম ছিল। পরে তারা দ্বিতীয় আরেকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও বিরল মৃত্তিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-জাপান কাঠামো গঠন করে। ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তির আওতায় জাপানের ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগেরও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, যা মার্কিন শুল্ক হ্রাসের সাথে জড়িত।
ট্রাম্পের এশিয়া নীতি মূলত শুল্ক ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক হলেও তিনি টোকিওর একটি মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে নোঙ্গর করা ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন বিমানবাহী জাহাজে বক্তৃতা দেন। সোমবার টোকিও পৌঁছানোর পর তিনি জাপানের সম্রাটের সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন। এর আগে তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
সফরসূচি অনুযায়ী আজই জাপানের রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি পরিদর্শনে যাবেন ট্রাম্প। বুধবার ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন, যেখানে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।