সকালে ঘুম থেকে জেগে মন্দিরে পূজা অর্চনা করতে গিয়ে দেখেন প্রতিমাসহ পুরো মন্দির ঘরটিই গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত গভীর রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামে।
ওই গ্রামের কেশব দাসের স্ত্রী সরস্বতী দাস বলেন, ওই জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষের শ্মশান। শ্মশানের পাশে আমাদের জমির ওপর গত দুই বছর পূর্বে আমরা একটি একচালা মন্দির ঘর প্রতিষ্ঠা করি। সেখানে মা কালীর প্রতিমা রেখে পূজা অর্চনা করে আসছি।
গত কিছুদিন পূর্বে ওই জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় ভূমিদস্যু মোস্তফা মুন্সী ও তার সহযোগীদের।
ফলে তারা জমি দখলরে জন্য ইতোপূর্বে আমাদের পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, কিন্তু জমির দখল নিতে পারেনি। তিনি জানান, রোববার বিকেলে আমি মন্দিরে পূজা অর্চনা করতে গেলে প্রভাবশালী মোস্তফা মুন্সী, তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন আমাকে বাধা দেয়। ফলে পূজা অর্চনা করতে না পেরে সেখান থেকে তখন আমি ফিরে আসি। কিন্তু সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি পুনরায় মন্দিরে পূজা অর্চনা করতে যাই। গিয়ে দেখি প্রতিমাসহ পুরো মন্দির ঘরটিই গায়েব হয়ে গেছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি অনুপ দাস বলেন,
রোববার বিকেলে যারা পূজা অর্চনা করতে বাধা দিয়েছে আমার ধারণা জমি দখলের উদ্দেশ্যে তারাই গভীর রাতে প্রতিমাসহ আমাদের মন্দির ঘরটি গায়েব করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় আমার মা সরস্বতী দাস বাদী হয়ে মোস্তফা মুন্সী ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে আসামি করে সোমবার বিকেলে গৌরনদী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তফা মুন্সীর বক্তব্য জানার জন্য তার 01731724747 নম্বরের মোবাইল ফোনে একাধকিবার কল করা হয় । তিনি কল রিসিভ করেননি ।
গৌরনদী মডলে থানার ওসি ওসি তদন্ত মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সোমবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।