গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পুরোপুরি ট্রমাটাইজড বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, ‘যেটি বলা হচ্ছে, নুরুল হক নুর সুস্থ হওয়ার পথে। কিন্তু আসলেই না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন নুরকে দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বার্তায় রাশেদ খান বলেন, ‘আমি আজকে সকালে নুরকে দেখতে এসে দেখি, আমার সামনেই নাক দিয়ে এভাবে জমাট বাঁধা রক্ত বের হলো! সেখানে ঢাকা মেডিকেলের ডিরেক্টরসহ আরও অনেক ডাক্তার ছিলেন।’
তারা পাশে বসে নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তখন আমি তাদের ডেকে দেখাই যে, নাক দিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত পড়ছে। ডাক্তাররা সেটির ভিডিও করে নেন। যেটি বলা হচ্ছে, নুরুল হক নুর সুস্থ হওয়ার পথে। কিন্তু আসলেই না।’
ছবি: মো. রাশেদ খান
রাশেদ বলেন, ‘তার (নুরুল হক নুর) এখনো মাড়িতে ব্যথা, চোখের নিচে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে। নাকের হাড় পুরোপুরি ভেঙে গেছে, যে কারণে নাক বাঁকা হয়ে গেছে।’
‘তার মস্তিষ্ক পুরোপুরি কাজ করছে না। স্থির হয়ে বসতে ও শুতে পারছে না। নুরুল হক নুর পুরোপুরি ট্রমাটাইজড’, যোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ অনেকে আহত হন। পরে নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়।
নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত সোমবার কথা বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ওইদিন তিনি জানান, নুরুল হক নুরের নাক ও চোয়ালের ভাঙা হাড় পুরোপুরি ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে পারছেন তিনি।