বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য বিধিবিধান পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মতো পর্যায়ে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক শাখার (বেসরকারি) উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, সভায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক পদের নিয়োগ এনটিআরসিএর মাধ্যমে করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শুরুর দিকের পদ সহকারী শিক্ষক বা প্রভাষকের নিয়োগ কেন্দ্রীয়ভাবে এনটিআরসিএর মাধ্যমে হয়। আর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়।
দেশে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ১৬৪টি। বাকিগুলো নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী।