যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বৈধ ভিসাধারীর তথ্য নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশিদের ওপর চলমান কঠোর অভিযানের অংশ।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ভিসাধারীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারযোগ্য অপরাধের তদন্ত চলছে। এদের অধিকাংশ গত চার বছরে ভিসা পেয়েছেন। এর মধ্যে ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, জননিরাপত্তায় হুমকি, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত কিংবা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার মতো বিষয় যাচাই চলছে। ভিসাধারীর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও পর্যটকও অন্তর্ভুক্ত। সম্ভাব্য অযোগ্যতার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেই পররাষ্ট্র দপ্তর ভিসা বাতিল করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব ধরনের তথ্য পর্যালোচনা করি। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রেকর্ড, অভিবাসন-সংক্রান্ত রেকর্ড অথবা ভিসা অনুমোদনের পর প্রকাশ পাওয়া অন্য যে কোনো তথ্য অন্তর্ভুক্ত।
হোয়াইট হাউস দেশব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন মনে করছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে বহিষ্কার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার আরও বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর দ্বিগুণেরও বেশি ভিসা বাতিল করেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ।
এক কোটি ৮৬ লাখ অবৈধ অভিবাসী
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে ২০২৩ সালে। এর সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখে পৌঁছেছে বলে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই তথ্যে বলা হয়, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারীর সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে এ সংখ্যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অভিবাসনবিরোধী সমালোচকদের অনুমানের তুলনায় অনেক কম।
পিউ জানিয়েছে, ২০২২ সালে যেখানে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৮ লাখ, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখে। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২০০৭ সালে এক কোটি ২২ লাখ। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির বড় অংশ এসেছে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মাধ্যমে। তারা কোনো না কোনো ধরনের অস্থায়ী আইনি সুরক্ষার আওতায় ছিলেন।