যশোরের মনিরামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল মান্নান (৫৫) নামে এক ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান।
নিহত আব্দুল মান্নান উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের ডুমুরখালি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের এজহার মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত শনিবার বিকেলে ছোট ভাই আব্দুল হান্নানের ছেলে রহমতউল্লাহ ধারালো দা দিয়ে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী ফুলি বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাতে আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মনিরামপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি ও হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সাত্তার বলেন, আব্দুল মান্নান সব সময় পারিবারিক বিরোধ মিটিয়ে রাখতে চাইতেন।
কিন্তু ছোট ভাই হান্নান ও তাঁর পরিবারের অসহযোগিতায় বিষয়টি তীব্র রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারাতে হলো মান্নান ভাইকে।
হামলার পরপরই অভিযুক্ত রহমতউল্লাহ ও তার বাবা-মা—আব্দুল হান্নান ও রেশমা খাতুন—যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজন—আব্দুল হান্নান, তার স্ত্রী রেশমা খাতুন ও ছেলে রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।