ময়মনসিংহের ফুলপুর এবং তারাকান্দায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ফুলপুরে বাসের ধাক্কায় একটি অটোরিকশার ৭ যাত্রী নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌর শহরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা মাহিন্দ্রা থ্রি-হুইলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হন। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- ফরিদ মিয়া (৩৮), জহুর আলী (৭০), হাসিনা খাতুন (৫০), আজিম (৩৫)। ফুলপুরের এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন দেয়। মুহূর্তেই বাসটি আগুনে পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি জানান, উত্তেজিত জনতার কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়।
অপরদিকে একই মহাসড়কে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে হালুয়াঘাটগামী অ্যাম্বুলেন্স ও ময়মনসিংহগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশার চালক মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন ধোবাউড়ার বরাটিয়া গ্রামের জবেদা খাতুন (৮৫), ফুলপুরের মদীপুর সুতারপাড়া এলাকার রাকিবুল হাসান (১৫) ও চালক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের শুইলাম বুধবারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম (৩০)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় আহত আরও চারজনকে সার্জারি ও অর্থোপেডিকস ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন অ্যাম্বুলেন্সের হেলপার রয়েছেন।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। অ্যাম্বুল্যান্সটি ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিল তবে গাড়িতে কোনো রোগী ছিল না। দুর্ঘটনার পর পরই চালক পালিয়ে যায়। দুই জনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে এবং সিএনজিচালকের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে রয়েছে।