ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকাল ৯টার দিকে অভিনেত্রীকে আদালতে হাজির করে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিল্লাল ভূঁইয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এর আগে রবিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভাটারা থানার পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। ভাটারা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের নামে এনামুল নামে একজনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এনামুল হক আদালতের আদেশে ভাটারা থানায় মামলা করেন।
হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়- অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।
তাছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শ’জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ চলচ্চিত্র দিয়ে নুসরাত ফারিয়ার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। ২০২৩ সালে তিনি শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছাড়া তিনি মডেলিং ও সঞ্চালনায় সক্রিয় রয়েছেন।