শুক্রবার, ০৯:০৬ অপরাহ্ন, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীর ওয়ার্ড পর্যায়ের দুঃস্থ্যদের মাঝে ঈদবস্ত্র হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের হাতে শাড়ি-কাপড় হস্তান্তর বরিশালের স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্সে”র কমিটি গঠন ৩ বছরে ইউক্রেনে নিহত ১২ হাজার ৮৮১ জন-জাতিসংঘ ঈদের আগে ব্যাংকে টাকা তুলতে গ্রাহকের ভিড় ক্লাব বিশ্বকাপ : প্রাইজমানি ১২ হাজার কোটি, চ্যাম্পিয়ন পাবে কত গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছাবার্তা প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক মদের বোতল হাতে বৈষম্যবিরোধী নেতা-নেত্রী, ভিডিও ভাইরাল খালেদা জিয়া ১০ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন

ব্যাংক খাতে দ্রুত বাড়ছে মন্দ ঋণ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

ব্যাংক খাতে মন্দ মানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের ৮৪ শতাংশের বেশি মন্দ মানের। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে এই ঋণ বেড়েছে প্রায় সোয়া ১ লাখ কোটি টাকা। আর মন্দ ঋণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জাল-জালিয়াতি ও যোগসাজশের মাধ্যমে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় জামানত না থাকায় তা আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

খেলাপি ঋণ আদায়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। তারা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি যতই প্রভাবশালী হন না কেন, তিনি বা তার গ্রুপভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পাবে না। পাশাপাশি জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া কোনো ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও হবে না। তবে এসব কথা আমরা আগেও অনেকের কাছে শুনেছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল ভিত্তির ওপর বিতরণকৃত বা প্রদত্ত অনেক ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। তাই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা গেলে মন্দ হয়ে যাওয়া ঋণ পরিশোধে যেমন কাজে লাগানো যেত, তেমনই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতো। মন্দ ঋণ আদায় ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধেরও নিশ্চয়তা প্রয়োজন। তা ছাড়া ঋণখেলাপিদের সদুপদেশ দিয়ে লাভ নেই। তালিকা করে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব ঋণখেলাপি ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদের দেশে ফেরত এনে অর্থ উদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারেরই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com