শনিবার, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

নির্বাচন প্রশ্নে কোনো চাপে নেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন—এমন প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোনো ধরনের চাপে নেই বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংসদ ভবনে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কমিশন রাজনৈতিক কোনো চাপে রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সুতরাং চাপের কোনো প্রশ্ন আসে না। রাজনৈতিক দলগুলো বলবে, তাদের দায়িত্ব সুপারিশ তুলে ধরা। সেটার প্রক্রিয়াই চলছে। আমরা তাদের দেওয়া সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটা জায়গায় যেতে চাই। সুতরাং আমরা চাপে নেই।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামতের জন্য আমরা যখন দিয়েছি, তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে সময় নিয়ে হলেও তারা তাদের সুচিন্তিত মতামতগুলো আমাদের জানাচ্ছে। ফলে আমি এই মুহূর্তে চাপের কোনো কিছু দেখতে পাই না।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে ইতোমধ্যে যেসমস্ত মতামতগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি এবং আশা করছি যে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা ঐক্যমতের জায়গায় আসতে পারব। ইতোপূর্বে যেসব বক্তব্য আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে শুনেছি তাতে আশাবাদী হওয়ার কারণ যথেষ্ট রয়েছে। আমরা মনে করি এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় যেসব মতামত পাওয়া গেছে, তারা জনসম্মুখে যে কথাগুলো বলেছে, সেগুলোতে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট পরিমাণ কারণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কারণ দুটো। একটা হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের ব্যাপারে কোনো রকম সংশয় দ্বিধা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো চান যে, এখনকার যে পরিস্থিতি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ হচ্ছে সংস্কার। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলো এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চান। তাদের দিক থেকে কোনোভাবে কখনোই অসহযোগিতার তো প্রশ্নই ওঠে না, তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন, করছেন এবং অব্যাহত রেখেছেন। ফলে আমি মনে করি এ দুটো কারণে অগ্রসর হবে। কতটা সময় লাগবে, অনেকেই প্রশ্ন করছেন, সেটা নির্ভর করছে যে আলোচনায় আমরা কীভাবে অগ্রসর হই। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে যেভাবে অগ্রসর হওয়া যাবে, তাতে আমাদের লক্ষ্য স্বল্পতম সময়ে। পাশাপাশি যেটা আমি বারবার উল্লেখ করি সেটা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত, আমরা এর মধ্যেই আমাদের কাজ সম্পন্ন করতে চাই।

এর আগে সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার সুপারিশের ওপর লিখিত মতামত জমা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল লিখিত মতামত জমা দেন।

সংস্কার প্রস্তাব জমা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর জামায়াতে ইসলামীর যে মতামত আমরা সুলিখিতভাবে দিয়েছি। সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশন। এই পাঁচটি বিষয়ের ওপর দলের নেতৃবৃন্দ, আইন বিশেষজ্ঞ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আমাদের টেকনিক্যাল টিম যথেষ্ট সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য, যথার্থ ও উপযুক্ত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায়, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সেজন্য সরকারের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছি।নির্বাচন নিরপেক্ষ করে একটা সুন্দর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামোতে যে ভারসাম্যহীনতা সেগুলো ফিরিয়ে এনে সমন্বিত করতে ভালো কিছু পরামর্শ দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com