বুধবার, ০২:১২ অপরাহ্ন, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ফের যুদ্ধ: নেতানিয়াহু

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধ করে তীব্র সামরিক অভিযান শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমনকি হামাস চূড়ান্তভাবে পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিবিসি, আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দীদের ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দী বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস।

হামাস বলেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে এটি নিয়ে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই এবং ইসরায়েলি বন্দীদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছে তারা।

সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, ‘প্রতিরোধ নেতৃত্ব শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি তাদের অসম্মতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এদিকে হামাস তার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।’

হামাস আরও বলেছে, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিকমতো মেনে চললে বন্দী বিনিময়ের দরজা খোলা থাকবে। হামাসের এই মুখপাত্র উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরাতে বিলম্ব করা, মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং মানবিক সহায়তা অনুমোদনে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

এরপর নেতানিয়াহু মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষারোপ করেন এবং বলেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ‘গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং চারপাশে বাহিনী জড়ো করার’ নির্দেশ দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ের ধারাবাহিকতায় ২১ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মূলত গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৫৬৬ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন বন্দী ও এক হাজার ৯০০ বন্দী বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে আটজন আর জীবিত নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার সময় হামাস মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল।

জবাবে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক আগ্রাসন চালায় এবং এতে মোট ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com