রবিবার, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
স্বৈরাচার হাসিনা খালেদা জিয়াকে মে’রে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলো : সেলিমা রহমান গৌরনদীতে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গৌরনদীতে জন্মাষ্টমীর সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা সেপ্টেম্বর নয়, ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকা দর্শক মাতাচ্ছে রজনীকান্তের ‘কুলি’ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আম কি ক্ষতিকর? ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের পটুয়াখালীতে ব্যাংক বুথে ও দুই দোকানে ডাকাতি, নিরাপত্তাকর্মী আহত বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোবে : সালাহউদ্দিন আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে: জামায়াত সেক্রেটারি

অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১২২ বার পঠিত

সদ্য সমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলাম। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর রুমে সেদিন কী ঘটেছিল তা জানালেন তিনি।

রবিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলাম।

অভিযোগ রয়েছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি।

এ নিয়ে ডা. নাফিসা বলেন, ‘ওই দিন ওএমআর ফরম ছিঁড়ে ফেলা কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাই অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর চেহারা আমার মনে নেই। তদন্ত কমিটির সঙ্গে সেই হল পরিদর্শনে গিয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন আমি হলের ওই প্রান্তেই যায়নি। ওই খাতায় আমার স্বাক্ষরও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিন খুব স্বাভাবিক পরিবেশেই ৮২৩ নম্বর রুমে পরীক্ষা হয়। ওএমআর ছেঁড়াতো দূরের কথা, কোনো অনাকাঙিক্ষত ঘটনাই ঘটেনি। এমন অভিযোগে আমি অনেক বিচলিত।’

অভিযুক্ত পরিদর্শক বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ১০টা বাজলে রুম আটকে দিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গণনা করা হয়। ওই দিন হল সুপার ১০৬ জন পরীক্ষার্থী গণনা করেন। অনুপস্থিত ছিল ২ জন। পরীক্ষা শেষে খাতা গণনা করে নেওয়া হয়েছে। কোনো ডিভাইস পাওয়া বা এরকম কিছু হলে হল সুপার এ বিষয়ে সাধারণত নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানান। কিন্তু সেদিন আমার রুমে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সুন্দর মতো পরীক্ষা নিয়ে আমরা বের হয়ে আসি। আমাকে যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, আমি সেটাই পালন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ওই দিন একজন শিক্ষার্থীও ভুল করেননি, ফলে ওএমআর শিটও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। তার খাতায় আমার সাইন নেই; থাকারও কথা না। কারণ, ওই সাইডে অভিযোগকারীর রোলও পড়েনি।’

ডা. নাফিসা বলেন, ‘নিজেকে আমি আড়াল করিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমাকে তারা যে নম্বরে ফোন করেছেন, পরিদর্শকের তালিকায় আমার যে নম্বর ছিল, সেটা টাইপিং মিসটেকজনিত ভুল ছিল। পরে এ বিষয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত হাসপাতালেও যাচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যে বিভাগে খোঁজা হয়, আমি সেই বিভাগে ছিলাম না। আমার প্লেসমেন্ট ছিল অন্য জায়গায়। আমার নামটা সরাসরি চলে আসায় আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার নামে কিছু ছড়াতে পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করি।’

এদিকে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com