শনিবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকরা পেলেন বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রজন্মের প্রজ্ঞাবান বি এন পির নেতা তারেক রহমানের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক‍্যাম্পাসে আলোচনা সভা তারেক রহমানের রাজনীতি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক‍্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শুক্রবার নতুন কুঁড়ি ২০২৫ প্রতিযোগীতায় সেরা দশে এর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে গৌরনদীর শিশু একাডেমির শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী পোদ্দার গৌরনদীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির বীজ ও সার বিতরণ যে ৩ কারণে হত্যা মামলা থেকে ইরেশ যাকেরকে অব্যাহতির সুপারিশ শেখ সালেহ আল-ফাওজান সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলান পারফিউমও অবশেষে মুখ খুললেন ববি আবারও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির

বীর প্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৬২ বার পঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের এই দিনে তিনি কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।

দিনটি উপলক্ষে আজ বুধবার তার গ্রামের বাড়ি রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাদ মাগরিব পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বাদ আছর কুড়িগ্রামের আরাজি পলাশবাড়ি এলাকার গুচ্ছ পাড়ার বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে আবু তাহের ও বীর প্রতীক তারামন বিবির ভাই হাসান মিয়া।

তারামন বিবির জন্ম ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে। তিনি উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন সন্মুখ সমরে।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবি ১১ নম্বর সেক্টরে নিজ গ্রামে ছিলেন। তখন ১১ নম্বর সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালানো শেখান। এরপর একদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তারামন ও তার সহযোদ্ধারা জানতে পারেন পাকবাহিনীর একটি গানবোট তাদের দিকে আসছে। তারামন তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেন এবং তারা শত্রুদের পরাস্ত করতে সক্ষম হন। এরপর তারামন অনেক সন্মুখযুদ্ধে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন। এ কারণে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাব দেয়।

তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের জানান, ‘আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ উদ্যোগে পারিবারিকভাবে রাজীবপুরের বাড়িতে বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com